Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা পুতিনের

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৫১

ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা পুতিনের

সীমান্তের কাছে রোস্তভ অঞ্চলে রাশিয়ার সেনা ও সামরিক যান। ছবি : বিবিসি

ইউক্রেনের ডনবাস (দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এলাকাকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) অঞ্চলে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন এই অভিযানের ঘোষণা দেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে দেওয়া ওই ভাষণে পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের যুদ্ধাঞ্চলে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সেনাদের তাদের অস্ত্র নামিয়ে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি যেকোনও রক্তপাতের জন্য কিয়েভকে দায়ী করা হবে বলে ইউক্রেনকে সতর্ক করেছেন তিনি।

বক্তব্যে পুতিন আরও বলেন, ইউক্রেন আর রুশ বাহিনীর মধ্যে সংঘাত অবশ্যম্ভাবী ও স্রেফ সময়ের ব্যাপার। ‘ন্যায়বিচার ও সত্য’ রাশিয়ার পক্ষে রয়েছে।

তিনি সতর্ক করেন যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কেউ পদক্ষেপ নিলে মস্কো তাৎক্ষণিক জবাব দেবে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ইউক্রেন সংকটের বিষয়ে এক জরুরি বৈঠকে বসে।

গত তিনদিনের মধ্যে এটি নিরাপত্তা পরিষদের দ্বিতীয় জরুরি বৈঠক। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুরোধে এই বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। বৈঠকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস ইউক্রেনে সেনা আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য পুতিনকে অনুরোধ করেন।

এদিকে এবার ইউরোপে যুদ্ধের আশঙ্কার কথা শোনা গেল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্‌স্কির মুখে। অবশ্যম্ভাবী আগ্রাসনের বিরোধিতায় রুশ জনতাকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। 

মধ্যরাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে জেলেন্‌স্কি বলেন, ইউরোপে একটা বিরাট যুদ্ধ শুরু করতে চলেছে রাশিয়া। রুশ জনতার কাছে আবেদন, আপনারা এই নিষ্ঠুর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।

ভাষণে জেলেন্‌স্কি বার বার দাবি করেছেন, ইউক্রেনের জনতা ও সরকার শান্তি চায়। কিন্তু যদি আমাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়, শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই জারি থাকবে।

এরই মধ্যে, ইউক্রেনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন জেলেন্‌স্কি। জরুরি অবস্থা জারির ফলে সরকার এখন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় কিছু ব্যবস্থা নিতে পারে। এটি ঠিক সামরিক আইন জারির মতো ব্যাপার নয়। তবে দরকার হলে সামরিক আইনও জারি করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।

ইউক্রেনের সরকার একইসঙ্গে তাদের সব নাগরিককে রাশিয়া ত্যাগ করতে বলেছে। প্রায় ৩০ লাখ ইউক্রেনিয়ান রাশিয়ায় থাকে বলে ধারণা করা হয়। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়ার অবস্থানরত ইউক্রেনিয়ানদের এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন, তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা বেশ কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

এর আগে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন তাদের রিজার্ভ সেনাদের তলব করেছে। ইউক্রেনের রিজার্ভ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৯ লাখ বলে ধারণা করা হয়। ১৮ হতে ৬০ বছর বয়সীদের এখন তলব করা হচ্ছে রিজার্ভ বাহিনীতে যোগ দিতে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেন সংকট নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে। সেখানেও হামলা অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করা হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব ইতিমধ্যেই পুতিনকে অনুরোধ করেছেন সেনা আগ্রাসন বন্ধ করতে। যদিও সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ডনবাস এলাকায়  বিশেষ অভিযানে এখনও অনড় পুতিন। ইউক্রেনের সরকার এখন পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইউক্রেন সীমান্ত বরাবর প্রায় ২ লাখ সৈন্য সমাবেশ করেছে মস্কো। সেই বিপুল সৈন্য এগিয়ে চলেছে ইউক্রেনের দিকে। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের সেনার মোকাবিলায় পুতিনের সাহায্য চেয়েছেন রুশপন্থী ডোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের স্বঘোষিত প্রধান।

এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে ইউক্রেনকে সেনা পাঠিয়ে নয়, আরও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। -বিবিসি

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫